1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবনের নদী

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ উদ্যাপন করেছে স্বাধীনতার ৫০ বছর। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে রণাঙ্গনে ব্যক্তি-মানুষের বাইরে আমাদের প্রাণ-প্রকৃতিও সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবনের নদীগুলোর ভূমিকা নিয়ে লিখেছেন সিরাজুল ইসলাম
সুন্দরবন
১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা সাধ্যের সর্বোচ্চ ঢেলে দিয়ে জল, স্থল আর আকাশপথে লড়াই করে। ৯ মাসের এই যুদ্ধে অন্য অনেক কিছুর মতো বাংলার প্রাণ-প্রকৃতি, বিশেষত নদ-নদীগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বঙ্গোপসাগরের তীরঘেঁষে গড়ে ওঠা পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও এর নদীগুলো। বাংলাদেশের তিন জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জুড়ে এর অবস্থান। বাকি অংশ পাশের রাষ্ট্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে এর বিস্তৃতি। মোট বনের শতকরা ৬২ ভাগ বনাঞ্চল বাংলাদেশের আর ৩৮ ভাগ ভারতের। আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ অংশের পরিমাণ প্রায় ৬০১৭ বর্গকিলোমিটার। সুন্দরবনের নদীগুলো নোনাপানি ও মিঠাপানির মিলন স্থান। গঙ্গা থেকে আসা নদীর মিঠাপানি, বঙ্গোপসাগরের নোনাপানি হয়ে ওঠার মধ্যবর্তী স্থান হলো এ এলাকাটি। ছোট-বড় বেশ কিছু নদী বহমান এই সুন্দরবনকে ঘিরে। এর প্রায় ২০ ভাগই নদী-নালায় বেষ্টিত। বলেশ্বর, ভোলা, নীলকমল, পশুর, পাথুরিয়া, রায়মঙ্গল, মালঞ্চ, শিবশা, শেলা, হরিণঘাটা নদী এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। কয়েক হাজার বছরের পুরনো এই প্রাকৃতিক বনাঞ্চল মুক্তিযুদ্ধের পরও আম্ফান, সিডর, আইলা, গোর্কির মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছোবল সয়ে নিজে বিবর্ণ হয়েছে, ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, তবু সুরক্ষা দিয়েছে দেশের মানুষকে। এর মধ্য দিয়ে সুন্দরবনের অকৃত্রিম উদারতার প্রমাণ পাওয়া যায়। রহস্যেঘেরা, গভীর অরণ্যের এই বনাঞ্চল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সময়ও বিপ্লবীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
সুন্দরবন ক্যাম্প
প্রাকৃতিকভাবেই লড়াকু এই বন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হয়ে ওঠে, যা সুন্দরবন সাব-সেক্টর হিসেবে পরিচিত। বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের মধ্যে ছিল সাব-সেক্টরের হেডকোয়ার্টার। ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন অঞ্চলটি ছিল নদীবহুল। এই এলাকায় নদ-নদী, খাল-বিল মাকড়সার জালের মতো বিস্তৃত। ১৯৭১ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মেজর জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে সুন্দরবনের ভেতরে আড়াইবাঁকী, মাইঠার ও মূর্তির খালের সংযোগস্থলে একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। জায়গাটি বেশ খানিকটা উঁচু হওয়ায় বসবাসের জন্য নিরাপদ মনে করা হয়। জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে তিনিসহ ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা বড় একটি জেলে নৌকা নিয়ে সেদিন ধানসাগর খালের মধ্য দিয়ে ভোলা নদী পার হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। তাদের সঙ্গে থাকা নৌকার দুই মাঝিও সেদিন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছিলেন। স্থানটি মেজর জিয়াউদ্দিনের পছন্দ হওয়ায় এখানেই ক্যাম্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা এই ক্যাম্পটি মেজর জিয়াউদ্দিনের বিশেষ আগ্রহেই প্রতিষ্ঠিত হয়।
দেশত্যাগে নদীপথ
সুন্দরবন অঞ্চলে রাজাকারদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ও পাকিস্তানি হানাদারদের নির্মম অত্যাচার, নির্যাতনের ফলে সাধারণ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পাশের রাষ্ট্র ভারতে আশ্রয় নেয়। এ সময় নদীপথই হয়ে ওঠে তাদের প্রধান রাস্তা। এপ্রিল মাসের দিকেই তারা দেশত্যাগ করতে শুরু করেন। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে যাত্রার সময় তারা পারেরহাট বন্দর থেকে কচা নদী, বলেশ্বর ও হরিণঘাটা নদী ব্যবহার করতেন। এ সময় বিশ্রাম নিতেন সুন্দরবনের সুপতি নামক জায়গা, শাপলা খাল ও ক্ষুদিরামের খালের কাছে। বিশ্রাম শেষে তারা শেলা নদী ধরে এগিয়ে মরা পশুর নদ, শিবসা নদী, আড়পাঙ্গাশিয়া নদী ও মালঞ্চ দিয়ে সীমান্তের ওপারে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছাতেন।
শেলা নদীতে যুদ্ধ
সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখের দিকে কমান্ডার জিয়াউদ্দিনের কাছে খবর পৌঁছায় শেলা নদী হয়ে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যবাহী জাহাজ ও গানবোট যাতায়াত করছে। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় ওইসব নৌযান আক্রমণের। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গেরিলা বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্য শেলা নদীর উত্তর তীরে অবস্থান নেয়। সেদিন পাকিস্তানি সেনা বহনকারী একটি স্টিমার এ পথ দিয়ে যাচ্ছিল। স্টিমারটি দেখামাত্র গুলি শুরু করেন মুক্তিযোদ্ধারা। স্টিমারটির ছাদে তৈরি থাকা বাংকারের আড়াল থেকে পাকিস্তানি সেনারাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি বুঝে পাকিস্তানিরা খুব দ্রুত স্টিমারটিকে ওই স্থান থেকে সরিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। অপারেশন সফল না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সুন্দরবন এলাকায় নৌযান চলাচলের সময় নদীর খাড়ির অংশ দিয়েই চলাচল করে, যাতে চরে আটকে না যায়। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয় তারা শেলা নদীর খাড়ির পাশ দিয়ে যত বড় বড় গাছ আছে, তাতে ওঠে নৌযান আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করবেন, যাতে গুলি করা যায় সরাসরি স্টিমারের ছাদে। সেই লক্ষ্যে বাজার থেকে শতাধিক গামছা জোগাড় করা হয়। তারপর পরিকল্পনা অনুযায়ী জায়গা বুঝে বড় বড় গাছে ওঠে পড়েন তারা। তারপর নিজেদের সেই গামছা দিয়ে গাছের সঙ্গে ভালো করে বেঁধে নেন। এমন সময়ই পাকিস্তানি সেনা বহনকারী একটি স্টিমারকে আসতে দেখা যায়। খাড়ির যে অংশের বড় গাছগুলোয় মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছেন, ঠিক সেখান দিয়েই স্টিমারটি চলতে থাকে। স্টিমারের ছাদে তখন শতাধিক পাকিস্তানি সেনা অবস্থান করছিল। এমন সময় গাছে থেকেই পাকিস্তানি সেনাদের দিকে গুলি চালানো হয়। এতে অর্ধশতাধিক পাকিস্তানি হতাহত হয়। এমন ঘটনায় পাকিস্তানি সেনারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এ সময় ভরা জোয়ার থাকায় স্টিমারটি উত্তরদিকে সরে যায় এবং কয়েকবার ঘুরপাক খেয়ে মোংলার দিকে যেতে থাকে।
ধানসাগর খালের যুদ্ধ
সেপ্টেম্বর মাসের ২৪-২৫ তারিখের দিকে স ম কবীর আহমদ মধু ও আমজাদ আলী মল্লিকের নেতৃত্বে ১০-১২ সদস্যের একটি মুক্তিযোদ্ধার দল নৌকায় লোকালয়ের দিকে যাত্রা করে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করে সুন্দরবনে নিয়ে আসাই ছিল তাদের যাত্রার প্রধান উদ্দেশ্য। আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ধানসাগর খালের কাছে অবস্থিত ফরেস্ট অফিসের কাছে আসা মাত্রই তারা তিনটি নৌকায় অবস্থানরত রাজাকারদের মুখোমুখি হন। এ সময় রাজাকারদের নৌকা থেকে তাদের দিকে গুলি ছোড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তারাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। এতে স ম কবীর আহমদ মধুর নৌকার মাঝি গুলিবিদ্ধ হন। আর রাজাকারদের তিনজন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। সেদিন তারা খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ না করেই ভোর হওয়ার আগেই ক্যাম্পে ফিরে আসেন।
নৌকার মাঝি আবুল হাশেম হাওলাদার
২০১৭ সালের ২ ডিসেম্বর কালের কণ্ঠে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার জোলাগাতী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম হাওলাদারের স্মৃতিচারণ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘হাসনাবাদ থেকে একদল মুক্তিযোদ্ধা ও অস্ত্রের চালান নিয়ে এক দিন রওনা দিই সুন্দরবন অভিমুখে। তখন ভরা বর্ষাকাল, প্রমত্তা নদী। ঘোর অন্ধকার রাতে আমরা যখন নদীর মাঝখানে তখন ঝড় শুরু হয়। নৌকার মাঝি আমি। উথাল-পাথাল ঢেউয়ে শক্ত হাতে হাল ধরি। তুমুল বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ চমকানোর মধ্যে হঠাৎ মাঝ নদীতে পাকিস্তানি সেনাদের একটি গানবোট দেখতে পাই। মুক্তিযোদ্ধারা চমকে ওঠেন। শুরু হয় গোলাগুলি। মুহূর্তেই পাকিস্তানি সেনাদের একটি গুলি এসে আমার বাঁ হাতে লাগে। একটা আঙুল উড়ে যায়। সেই হাত দিয়েই শক্ত করে চেপে ধরি নৌকার হাল। পাকিস্তানি সেনাদের গুলি তখনো থামেনি। মুক্তিযোদ্ধারাও পাল্টা গুলি চালায়। আর আহত আমি মরণপণ নৌকা চালিয়ে নিই। একপর্যায়ে থেমে যায় গোলাগুলি। কয়েক ঘণ্টার বিপদ কাটিয়ে আমি নৌকা পৌঁছে দিই ক্যাম্পের কাছে। এরপরই আমি জ্ঞান হারাই।’
এমন আরও ছোট-বড় অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে সুন্দরবনের বলেশ্বর, ভোলা, নীলকমল, পশুর, পাথুরিয়া, বাংরা, রায়মঙ্গল, মালঞ্চ, শিবশা, শেলা, হরিণঘাটা ইত্যাদি নদীর মধ্যে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় এই অঞ্চলে যুদ্ধ করেন নৌ-সেনা লে. কমান্ডার (অব.) মো. জালাল উদ্দিন বীর-উত্তম। তিনি তার ‘মুক্তিযুদ্ধে নৌ-সেনানী’ বইতে লিখেছেন ৩০ জুলাই শেষ হয়ে যায় ঐতিহাসিক ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত লিম্পেট মাইন ও হাতবোমা দিয়ে পূর্ববাংলার বিভিন্ন নদ-নদী; যেমন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার বুকে নদীবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর দুটিতে অপারেশন জ্যাকপট পরিচালনা করার চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি। নৌ-কমান্ডো হিসেবে সমুদ্রবন্ধর ও নদীবন্দরগুলোয় আত্মঘাতী আক্রমণে যাওয়ার জন্য, দেশমাতৃকার স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমরা আত্মঘাতী আক্রমণ (সুইসাইডাল অ্যাটাক) দলিলে সই করি।
৭ আগস্ট আমরা ১৪ জন নৌ-কমান্ডো চৌদ্দটি লিম্পেট মাইন, দুটি এলএমজি, তিনটি এসএলআর, পাঁচটি ৩০৩ রাইফেল, চারটি এসএমজি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ গোলাবারুদ নিয়ে পিরোজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিনের দিকনির্দেশনায় চব্বিশ-পরগনার বিএসএফ ঘাঁটি থেকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সামুদ্রিক বন্দর চালনার বহির্নোঙরে ও হিরণ পয়েন্টে অবস্থানরত পাকিস্তানি ও বিদেশি জাহাজে অপারেশন জ্যাকপট পরিচালনা করার জন্য যাত্রা করি। মেজর জিয়াউদ্দিনও চব্বিশ-পরগনার একই ঘাঁটি থেকে ছয়খানা দেশি নৌকায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপকূল ও সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে আমাদের নৌকাসহ অতি সাবধানতা অবলম্বন করে ১৪ আগস্ট হিরণ পয়েন্টে জাহাজঘাঁটির কাছাকাছি পৌঁছে অবস্থান গ্রহণ করতে সমর্থ হই।
১৪ আগস্ট হিরণ পয়েন্ট নোঙরে নিজেদের অবস্থান থেকে তীক্ষè ও সজাগ দৃষ্টি রাখতে থাকি। কারণ ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে কলকাতা বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে গোপন সংকেতপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে অপারেশন জ্যাকপট শুরু করতে হবে। কিন্তু ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ভেবে সবগুলো জাহাজ নিরাপত্তার জন্য ভেতরে নিয়ে যায়। ফলে হিরণ পয়েন্ট নোঙরে অপারেশন জ্যাকপট পরিচালনা সম্ভব হয়নি। তবে বন বিভাগের একটি জাহাজ আমরা ডুবিয়ে দিই এবং সহযোদ্ধা নৌ-কমান্ডোদের নিয়ে মেজর জিয়াউদ্দিনের নৌবহরের সঙ্গে তার শরণখোলা ও সুপতি ঘাঁটিতে চলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি চালনা বন্দর নোঙর এলাকায় ১৪ আগস্ট মধ্যরাতে যে দলটির অপারেশন করার কথা ছিল, তারাও আংশিকভাবে সফল হয়েছে। তারা ‘লাইটিং থান্ডার’ নামে একখানা সমুদ্রগামী জাহাজকে ঘায়েল করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও তাদের টার্গেট ছিল আরও বেশি, কিন্তু সুযোগ না-পাওয়ায় তা সফল করা সম্ভব হয়নি। তবু নৌ-কমান্ডোরা যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তা এক গৌরবময় অর্জন।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করেছে বাংলার দামাল ছেলেরা। একই সঙ্গে সুন্দরবনের নদ-নদীগুলো বাঘের হিংস্রতায় গর্জে উঠেছিল, পাকিস্তানিদের নির্মম অত্যাচার আর নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে। যে কারণে এ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বেশ খানিকটা সহজতর হয়ে উঠেছিল লড়াইয়ের ময়দান। জয় আসে, নদীপথে ৯ মাসে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট