শ্যামনগর: সাতক্ষীরায় দুপুর ১টার দিকে শুরু হয়েছে মৌসুমি বৃষ্টি। হঠাৎ এ বৃষ্টিতে জনজীবনে যেমন স্বস্তি নেমে এসেছে, তেমনি ধান কাটার মৌসুমে কৃষকের কপালে যোগ হয়েছে নতুন দুশ্চিন্তা।
সাতক্ষীরা শহরের বাসিন্দা নাজমুল হাসান বলেন, ‘গত কয়েক দিন প্রচণ্ড গরম ছিল। হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় শহরের পরিবেশটা অনেকটা বদলে গেছে। কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। বিশেষ করে রাস্তাঘাটে ধুলাবালি কমে গেছে।’
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মাঠে এখনো অনেক ধান কাটা বাকি। যদি বৃষ্টি বেড়ে যায়, তাহলে ধান উঠাতে সমস্যা হবে। তবে যদি সীমিত পরিসরে হয়, তাহলে দ্রুত ধান উঠানোর চেষ্টা করছি।’
এদিকে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা কতদিন স্থায়ী হবে, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ‘বৃষ্টি এক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সাতক্ষীরায় প্রায় ৩০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে মাঠের ফসল কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। তবে বৃষ্টি যদি বাড়ে, তাহলে কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। আমরা মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করছি এবং কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য—যত দ্রুত সম্ভব মাঠের ধান ঘরে তোলা। কারণ, প্রকৃতির আচরণ কখন কী হয়, তা বলা মুশকিল।