শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা : শরণখোলায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দশ দিনে ৫০ জন কুকুরের কামড়ে আহত মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে । হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানো জলাতংকের ভ্যাকসিন নেই।
গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার গ্রামাঞ্চল থেকে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবের খবর পাওয়া যাচ্ছে। মানুষজন কুকুরের আতংক নিয়ে পথ চলাচল করছে। অনেকে ফজরের নামাজে মসজিদেও যেতে পারছেনা। দল বেধে কুকুর মানুষজনকে তাড়া করে ফিরছে। প্রায় প্রতিদিন কুকুরে কামড়ানো মানুষ হাসপাতালে আসছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানোর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন সরবরাহ নেই। ভূক্তভোগীদের বাজার থেকে অধিকমূল্যে ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। উপজেলার রাজাপুর গ্রামের খলিলুর রহমান,খোন্তাকাটা গ্রামের মোস্তফা হাওলাদার,ধানসাগর গ্রামের বিমল চন্দ্রসহ অনেকে বলেন, হাট বাজার ও গ্রামে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে নিরাপদে চলাফেরা করা যাচ্ছেনা। হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় জলাতংকের ভ্যাকসিন না পাওয়ায় বাজার থেকে তা কিনতে হচ্ছে বলে ঐ গ্রামবাসীরা জানান।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ( আরএমও) ডাঃ আশফাক হোসেন বলেন, প্রায় প্রতিদিন কুকুরের কামড় খেয়ে চিকিৎসার জন্য লোকজন হাসপাতালে আসছেন। গত দশ দিনে ৫০ জনের বেশী কুকুরের কামড়ে আহত মানুষ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকে হাসপাতালে না এসে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য চলে যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরে কামড়ানো ব্যক্তির চিকিৎসায় অতি প্রয়োজনীয় জলাতংকের ভ্যাকসিন ইনজেকশন সরবরাহ নেই। উর্ধতন কতৃপক্ষকে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হলেও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, উপজেলায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবের খবর পাচ্ছি। মানুষজনের নিরাপদ চলাফেরায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।