শ্যামনগর সাতক্ষীরা: দেবহাটায় পারুলিয়া বড় শান্তায় ইটের সোলিং রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই রাস্তাটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত করে। সড়কটি নির্মাণের জন্য অনেক দিনের দাবী ছিল এলাকাবাসীর। রাস্তা নির্মাণে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হলেও সড়কটি নির্মাণে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ এলাকাবাসীর। অব্যবস্থাপনার কারণে স্থায়িত্ব ও নির্মাণ কাঠামো নিয়ে সংশয় স্পষ্ট, নির্মিত সড়কটি দৃশ্যতঃ ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। দুই পাশে মাটির স্তর না থাকায় পার্শ্ববর্তী চিংড়ি ও মৎস্য ঘেরের কারণে রাস্তাটি নির্মাণ করতে না করতে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় জনসাধারণ নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার রফিকুল ইসলামকে যথাযথ নিয়মে কাজ করার আহবান জানালেও তা কর্ণপাত না করে নিজের ইচ্ছেমত রাস্তার কাজ শেষ করেছে। রাস্তা নির্মাণের দেখাশুনার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সাইফ বরাবর অনিয়মের বিষয়ে উত্থাপন করলেও সেই অনুযায়ী প্রতিকার পায়নি বা নিয়মানুযায়ী সড়ক নির্মাণ কাজ হয়নি।বড়শান্তা সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ৩.৭১ কিলোমিটার পাকা সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ অথচ সড়কটির পরিপূর্ণতা, নির্মাণশৈলী এবং পরিপূর্ণতা কেবলই অসম্পূর্ণতা দূর্নীতির সুস্পষ্ট ছোয়া দৃশ্যমান। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, নির্মান শেষ হওয়া সড়কটির দুই অংশের ইট নুয়ে পড়ছে। দশ ফুট চওড়া সড়কটির কোন কোন অংশ আট হতে নয় ফুট প্রশস্ত এখানেই শেষ নয় ইটের সড়কটিতে দৃশ্যমান ইটের অধিকাংশই এক নম্বর ইট নয়। নিয়মানুযায়ী বালু ভরাট পরবর্তী ইট বিছানো কিন্তু ভূগর্ভস্থ হতে উত্তোলন করা কাদা মিশ্রিত বালুর উপর ইট সোলিং করা হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসী আক্তার ঢালী এ প্রতিনিধিকে জানান, ইটের নিচের সর্বাংশে বালু দেওয়া হয়নি। সড়কের দুই ধারের অন্তত এক ফুট এলাকায় বালু ফেলা হয়নি, ইট উঠালে এর সত্যতা প্রমান হবে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। দশ ফুট পাকা ইট বিছানো এবং পাশ্ববর্তী দুই ধারে চার ফুট করে মাটি ভরাটের বিধান দীর্ঘ ৩.৭১ কিলোমিটারের সর্বত্র অনুপস্থিত। ইটের পরে কোথাও এক ফুট আবার কোথাও তার কম রয়েছে।এ ব্যাপারে প্রকৌশলী সাইফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে অনুযায়ী কাজটি করার কথা সেই অনুযায়ী করা হয়েছে।