শ্যামনগর সাতক্ষীরা: আশাশুনিতে মৎস্য ঘেরে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে কর্মচারীদের জিম্মী করে ডাকাতি ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছে। এলাকার মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীরা ডাকাতি আতঙ্কে রয়েছে।উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া বিলে গোদাড়া গ্রামের রজব আলী পাড়ের ছেলে জুলফিকর আলী ৬০বিঘা জমির ঘেরে মৎস্য চাষ করেন। কাকড়াবুনিয়া গ্রামের মোস্তফা আকুঞ্জির ছেলে এলাকায় সন্ত্রাসী, ডাকাত ও চাঁদাবাজ হিসাবে পরিচিত জহুরুল আকুঞ্জী তার ৫/৬ জন সহযোগিকে নিয়ে আগে থেকে ঘের কর্মচারীদের কাছে হুমকী দিয়ে আসছিল, এখানে ঘের করতে হলে তোদের মালিককে দু’ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। গত ১৩ এপ্রিল রাত্র ২:৩০টার দিকে জহুরুল ৫/৬ জন সহযোগিকে নিয়ে স্বশস্ত্র অবস্থায় ঘেরে হামলা চালিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ঘের কর্মচারী শহিদুল ইসলাম ও খোদা বকসকে হাত-পা বেধে বাসার মধ্যে আটকে রাখে। এসময় তারা বাসার সামনে জিইয়ে রাখা ৩৫ কেজি বাগদা চিংড়ী ও ১৫ কেজি হরিনা চিংড়ী লুটপাট করে বস্তায় ভরে নেয়। এরপর ঘেরের পানিতে নেমে ঘুনি ঝেড়ে অনুমান ২০ কেজি বাগদা চিংড়ী নেয়। ক্যাক্স বাক্স ভেঙ্গে নগদ ৮ হাজার টাকা বের করে নেয়। ৩দিনের মধ্যে দাবীকৃত ২ লক্ষ টাকা মালিককে গুছিয়ে রাখতে বলে এবং টাকা না দিলে মালিককে খুন করে লাশ গুম করা হবে বলে হুমকী দিয়ে তারা চলে যায়। অভিযোগ তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন এবং এলাকার মৎস্য চাষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দাবী জানিয়েছেন ঘের ব্যবসায়ীরা।এলাকাবাসী জানান, জহুরুল সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে এলাকার মৎস্য ঘেরে দীর্ঘদিন ডাকাতি, লুটপাট, ছিনতাই ও চাঁদাবাজী করে আসছে। তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ ভীত, সন্ত্রস্ত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। সবশেষ গত ২৬ মার্চ মামলা (নং ২২) দায়ের করা হয়। কাকড়াবুনিয়া বিলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের মৎস্য ঘেরে লুটপাট, ছিনতাই, ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয় বলে জানা গেছে। এব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সামসুল আরেফিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।