ডেস্ক রিপোর্ট : সাত বছর আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন (গালিব) এ রায় ঘোষণা করেন।
আরাভ খান ছাড়া এ মামলার আসামিরা হলেন- আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। এদের মধ্যে আরাভ ও কেয়া পলাতক রয়েছেন। এছাড়া বাকি ছয় আসামিকে রায় ঘোষণার আগে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালতে রাষ্ট্র নিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবীদের রুহুল আমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে ২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানী বনানী মডেল টাউনের রোড নম্বর ২/৩ বাড়ি নম্বর-৫ অ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় খুন করা হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য দুর্বৃত্তরা গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার উলুখোলা রাস্তার পাশে ঝাড়ের মধ্যে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে রাখে। ১০ জুলাই কালিগঞ্জ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বনানী থানায় ১০ জুলাই হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৯ সালে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
হত্যায় সহযোগিতার কারণে আইনের সংস্পর্শে আসা দুই কিশোরীর বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়। এই দুজনের বিচার করার জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ দোষীপত্রটি পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, রবিউল ইসলাম এখন আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে আছেন। ২০২৩ সালে দুবাইয়ে অভিজাত জুয়েলারি দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন তিনি। ২০২৩ সালে একটি অস্ত্র মামলায় তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।