=শ্যামনগর : সাতক্ষীরার কলারোয়া বাজারের শিমুল ওষুধ ফার্মেসীকে অবৈধভাবে চার হাজার টাকা জরিমানা করার প্রতিবাদে উপজেলার সকল ওষুধ ফার্মেসীর মালিকরা তাদের দোকান ৪ ঘন্টা বন্ধ রাখে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। এতে ওষুধ ক্রেতারা ব্যাপক হয়রানীর শিকার হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে ফার্মেসীর মালিকরা দোকান খুলে দেন। শিমুল ফার্মেসীর স্বত্তাধিকার শিমুল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা ড্রাগ সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদাকের সাথে উপজেলার সীমান্তবতীর্ গয়ড়া চন্দনপুর ও সোনাবাড়িয়া বাজারের ওষুধ ফার্মেসীতে যাতে মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ না থাকে সেলক্ষ্যে সচেতনাতামূক কাজ করছিলেন তারা। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে তার দোকানের কর্মচারীর একটি ফোন আসে,রিসিভ করে জানতে পারেন তার দোকানে ভোক্তা অধিকার আইনের কর্মকতার্রা এসেছেন। পরে ওই কর্মকতার্র সাথে কথা বললে, ওনি বলেন, আপনার দোকানে এতো মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ কেন? জবাবে বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ন্ন ওষুধ পলিথিনে পুরে দোকানের মেঝেতে রাখা হয়েছে। কোম্পানীর লোক আসলে তাদেরকে দেওয়া হবে। তারপরেও ভোক্তা অধিকার আইনের কর্মকতার্ কোন কিছু না শুনে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর উপজেলা ব্যাপী বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে সকল ওষুধ দোকানদার প্রতিবাদস্বরুপ তাদের দোকান বন্ধ করে দেয়। কলারোয়া উপজেলা ড্রাগ সমিতির সভাপতি শামসুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেরে তাৎক্ষনিকভাবে ওই ভোক্তা অধিকার আইনের কর্মকতার্র সাথে কথা বললেও কর্ণপাত না করে তিনি ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে উপজেলার সকল ফার্মেসীর মালিক প্রতিবাদস্বরুপ দোকান বন্ধ রাখে। এতে ওষুধ ক্রেতারা ব্যাপক দূভোর্গে পড়ে। পরে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের হস্তক্ষেপে বিকাল সাড়ে চার দিকে সকল ফার্মেসী খুলে দেওয়া হয়। ভোক্তা অধিকার আইনের সাতক্ষীরা জেলা সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান তানভীর বলেন, কলারোয়া বাজারের শিমুল ফার্মেসীতে অভিযানকালে ওষুধের তাক থেকে মেয়াদোত্তীর্ন্ন ওষুধ ও অবৈধ কিছু স্যামবল পাওয়া যায়। যার কারণে তাকে জরিমানা করা হয়েছে। পলিথিনে মোড়ানো ওই মেয়াদোত্তীর্ন্ন ওষুধের দিকে তাকানো হয়নি। উপজেলা নিবার্হী অফিসার জহুরুল ইসলাম জানান, বিয়য়টি তিনি জানতে পেরে ড্রাগ সমিতি সভাপতি ও সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়েছে।