দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নে অসময়ে সূতাবাড়িয়া নদীতে ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বিলীন হচ্ছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর এই ভাঙন নতুন করে দেখা দিয়েছে। নদীতে ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারন করায় ইতিমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ন জনপদ নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। নদীর ভাঙনে রনগোপালদী মাধ্যমিক ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজার এবং বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ও ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করে অস্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মান করলেও এটিও ভাঙনের মুখে রয়েছে।
উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের সূতাবাড়িয়া নদীতে শীত মৌসুমে হঠাৎ করেই নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার আশেপাশের আবাদি-অনাবাদি ও বসতঘর নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে। অস্থায়ী বাঁধ দিয়েও নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার নদী তীর রক্ষা বাঁধের ৮ কিলোমিটার নদীর মধ্যে ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট রক্ষাবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। নদীর পশ্চিম অংশে চর জেগে উঠায় পানির চাপ পরিবর্তন হওয়ায় নদীর গতিপথও পরিবর্তন হয়ে গেছে।ফলে নদীর পূর্ব অংশে গড়ে উঠা জনপদ ভাঙনের মুখে আছে।
নদীর পানি বৃদ্ধি এবং প্রবল চাপের কারনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঘূর্নিঝড় আ¤ফান’র আঘাত ও নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের পর থেকেই অত্র ইউনিয়নের পূর্ব ও পশ্চিম রনগোপালদীর বিভিন্ন এলাকায় নদীর ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত পরিবারের আবাদি-অনাবাদি জমি, বসতভিটা নদী গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে। ইউনিয়নের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার মুখে রয়েছে। নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অত্র ইউনিয়নে নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোন পরিকল্পনা গ্রহন করা হচ্ছে না। স্বাধীনতার ৫১ বছর পেরিয়ে গেলেও নদীর তীর ও সংলগ্ন এলাকা রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না। ইউনিয়নের পূর্ব অংশে অচিরেই বেড়িবাঁধ নির্মান করা না হলে চরম হুমকির মুখে পড়বে নদী তীরবর্তী এলাকা। ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের অনাগত ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন।
এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, নদীর ভাঙ্গনের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। নদীর ভাঙন সরেজমিনে পরিদর্শন করার পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তবে ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে ব্লক নির্মান সহ বাঁধ নির্মান করা প্রয়োজন। চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই বাঁধ নির্মান করা না হলে ইউনিয়নের বিস্তীর্ন জনপদসহ অসংখ্য পরিবার গৃহহারা হয়ে যেতে পারে।