শ্যামনগর : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহযোগিতায় বাংলা নববর্ষের দৃষ্টিনন্দন ব্যাপক শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে ও দিনব্যাপী বহুমাত্রিক কর্মসূচি পালিত হবে।
রবিবার সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। শহরের প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শোভাযাত্রাটি মিলিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় অংশ নেন জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ, লেকভিউ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সমাজসেবক ডাক্তার আবুল কালাম বাবলা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পী ও কলাকুশলী বৃন্দ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ এবং স্ব স্ব উদ্যোগে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রং বেরঙে সেজে আসা হাজারো শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে শোভাযাত্রাটি মিলিত হওয়ার পর সকলেই বাঙালির বাঙালিয়ানা খাবার পান্তা ভোজে মিলিত হয়। পান্তা ভাতে থাকে ইলিশ, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, চিংড়ি, আলু ভর্তা ইত্যাদি।
পান্তা ভোজের পর শিল্পকলা একাডেমীর মিলনায়তনে জড়ো হতে থাকে সবাই। এখানে সারা দিনের বর্ষবরণের কর্মসূচির মধ্যে সংগীত, নৃত্য, কুইজ প্রতিযোগিতা, বাঙালির ঐতিহ্যের প্রদর্শনী, অভিনয় এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। জেলা সদরের এ আয়োজনসহ উপজেলা গুলোর বিভিন্ন স্থানে বাংলা নব বর্ষবরণের অনুষ্ঠান হতে দেখা যায়।
কলারোয়া, তালা, আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের বেশ কিছু জায়গায় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলায় সুশীলনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তাভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। শোভাযাত্রাটি অর্ধ কিলোমিটার প্রদক্ষিণ শেষে সরকারি কলেজের সামনে সুশীলন মিলনায়তনে মিলিত হয়। নলতায় পান্তাভোজের আয়োজন করে কচিকাঁচার শিশু-কিশোররা।
দেবহাটায় পান্তাভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে জেলাব্যাপী বাংলা বর্ষবরণের শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নির্বিঘ্নে নিরাপত্তার সাথে পালন করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করা হয় বলে পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান।