পাইকগাছা : পাইকগাছা পৌরসভার উন্নয়ন বাজেটে জলবায়ু ঝুঁকি প্রবন এলাকার ১৭ টি ক্ষুদ্র প্রকল্পে বরাদ্ধকৃত প্রায় ১০ ,লক্ষ টাকার কাজ না করে সিংহভাগ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।পৌরসভার কোটেশন দরপত্র বিজ্ঞপ্তি নম্বর ০১/২০২৪-২৫(পূর্ত), তারিখ- ১৭ জুলাই ২০২৪ পৌরসভার উন্নয়ন বাজেটে জলবায়ু ঝুঁকি প্রবন এলাকার জন্য থোক বরাদ্দে জরুরি ভিক্তিতে জনস্বার্থে বাস্তবায়নের জন্য পৌরসভার তালিকাভুক্ত ঠিকাদার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হতে শর্ত সাপেক্ষে কোটেশন দরপত্র আহব্বান করা হয়। যার প্রকল্প গুলো (ক) পাইকগাছা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে পোষ্ট অফিসের সামনে সিসি ঢালাই। (খ) ২নং ওয়ার্ডে জনাব হযরত গোলদারের বাড়ি হইতে হান্নান মান্নানের জমি পর্যন্ত ৪০০ এমএম ডায়া ইউপিভিসি পাইপ স্থাপনের কাজ। (গ) ৮নং ওয়ার্ডে বাজার পুরাতন খেয়াঘাট সোলিং রাস্তা সংস্কারের কাজ। (ঘ) ৯নং ওয়ার্ডে মনোহার সানার বাড়ির সামনে ইটের ড্রেন নির্মানের কাজ। (৬) ৭নং ওয়ার্ডে ওয়ারদা রাস্তা হইতে মঈনুল মোল্যার বাড়ি পর্যন্ত সোলিং রাস্তা নির্মান। (চ) ৬নং ওয়ার্ডে এস এম শহিদুল সানার বাড়ি হইতে এসএম শফিকুলের বাড়ি পর্যন্ত সোলিং রাস্তা সংস্কার এবং বাঁশ প্যালাসইডিং এর কাজ। (ছ) ৮নং ওয়ার্ডে ওয়ার্বদা কালভার্টের সামনে হইতে শিবসা নদী পর্যন্ত মাটি কাটার কাজ। (জ) ৫নং ওয়ার্ডে মনিরুলের বাড়ি হইতে জনাব আবু মুছার বাড়ি পর্যন্ত সোলিং রাস্তা সংস্কারের কাজ। (ঝ) জনাব আলেপ সানার বাড়ির পাশে সোলিং রাস্তা সংস্কার। (ঞ) ৯নং ওয়ার্ডে শিববাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাটির কাজ। (ট) ৩নং ওয়ার্ডে মোক্তারের বাড়ির সামনে সোলিং রাস্তা সংস্কার। (ঠ) ওয়াপদা সুইচ গেট এবং খানজাহান আলীর বাড়ির পাশে মাটি ভরাট, বাশ পাইলিং এবং WBM এর কাজ। (ড) আজমীর হোটেলের সামনে সিসি ঢালাই এর কাজ। (ঢ) ২নং ওয়ার্ডে আজু গাজীর বাড়ির সামনে সোলিং রাস্তা সংস্কারের কাজ। (ণ) ২নং ওয়ার্ডে আনারুলের বাড়ি হইতে টিপুর বাড়ি পর্যন্ত সোলিং রাস্তা নির্মান। (ত) ৫নং ওয়ার্ডে আবাসন জামে মসজিদের সামনে ৪০০ এমএম ডায়া ইউপিভিসি পাইপ স্থাপনের কাজ। (থ) ৮নং ওয়ার্ডে ওয়াপদার অফিসের সামনে মাটি ভরাটের কাজ। যার প্রাক্কলিত মূল্য ৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৪৫ টাকা। কাজের সময়সীমা ৩০ দিন উল্লেখ করে টেন্ডার কোটেশন দরপত্র ঘোষণা করা হয়। যাহার শর্তবলীর মধ্যে উল্লেখ থাকে, যে কোন প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়া কর্তৃপক্ষ দাখিলকৃত দরপত্র সমূহ বাতিল করতে পারবেন এবং পিপিআর ২০০৯( সংশোধিত) অবশ্যই অনুস্বরণ করতে হবে। উক্ত প্রকল্প গুলো সর্বোচ্চ মূল্যে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ইউসুফ আলী প্রাপ্ত হন। তবে তিনি কাজ গুলি সঠিক ভাবে সম্পন্ন করেন নাই মর্মে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে জায়াযায়, ৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৫৪ টাকার ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে কয়েকটি প্রকল্পে নামকাওয়াস্তে কাজ করে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। বাকী টাকা পৌরসভা সচিব লালু সরদার, হিসাব রক্ষক মিনাল কান্তি মন্ডল সহ: ইঞ্জিনিয়ার লিঠু, ইঞ্জিনিয়ার নূর আলম ও মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ভাগাভাগি করে প্রকল্পের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। শুধু তাই নয়, কাজ না করে বিল উত্তোলন সহ ইতিমধ্যে জামানতের টাকা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন ঠিকাদার আর তাতে সুপারিশ করেছেন পৌরকর্তৃপক্ষ।এটাকে পৌরসভার সচেতন মানুষ পুকুর চুরির ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারা প্রকল্প গুলি সরেজমিন তদন্ত করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী করেছেন। এ ছাড়া পাইকগাছার পৌরসভার সরল দীঘির পানি প্রকল্পে, কবর খানার উন্নয়ন প্রকল্পে, পৌরসভা শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পে, পৌরসভার রোড লাইট প্রকল্পে, কভিট ১৯ প্রকল্পে, এডিবির প্রকল্পে ও গদাইপুর ইউনিয়ন পানির লাইন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ হরিলুট হয়েছে ও হচ্ছে। ঐসব বিষয় নিয়ে জনস্বার্থে আগামীতে ধারাবাহিক খবর প্রকাশ করা হবে।