সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সুন্দরবন উপকূলে,ঋতুরাজ বসন্তে মিলছে না কোকিলের কুহু কুহু ডাক। বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এক একটি ঋতুর এক একটি বৈশিষ্ট্য আছে। শেষ ঋতু হিসাবে কবিগণ বসন্ত নিয়েই বেশি মাথা ঘামিয়েছে। বছরের শেষ ঋতু হিসাবে বসন্তকে রাজা হিসাবে বিবেচনা করেছে।
তবে বসন্তের কোকিল একটি পরিচিত পাখি। এদের চমৎকার গান বসন্তকালকে মুখরিত করে রাখে। বর্তমানে কোকিল আছে সাহিত্যের পাতায়, মানুষের মুখে, গানে-বাগধারায়। কোকিলকণ্ঠী, বসন্তের কোকিল-এমন কত না উপমায় কোকিল ব্যবহৃত হয়। কোকিলের কুহুতান ছাড়া বসন্ত ভাবা যায় না।
তারপরও এখন কোকিল ছাড়াই বসন্ত আসে চলে যায়। সারা দেশেই এখন আর আগেরমতো কোকিলের ডাক শোনা যায় না। হারিয়ে যেতে বসেছে সুরেলা কোকিলের ডাক। সুরেলা পাখি কিংবা গানের পাখি হিসেবে কোকিল আমাদের কাছে পরিচিত।
গ্রামের মেঠোপথ ধরে বা শহরের আশপাশের গাছ-গাছালির নিচ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দূর থেকে ভেসে আসা কোকিলের সুমধুর সুরে প্রাণের মাঝে ঝঙ্কার তোলেনি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না।
লোকজ ঐতিহ্যের সংগ্রাহকদের কথা, কোকিল আগের মতো দেখাই যায় না। নতুন প্রজন্ম এসব নিয়ে ভাবে না। কোকিলের বংশধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর সরকারি মহাসিন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ওসমান গনি বলেন এখান থেকে বছর দশে ক আগে বসন্তে এলেই সাথে সাথে চারিদিকে কোকিলের ডাক শোনা যেত এখন আর প্রায় কানে শোনা যায় না এই উপকূলীয় এলাকায় কোকিলের ডাক কখন বসন্ত আসে কখন বসন্ত যায় বোঝাই যায় না আগে বোঝা যেত কোকিল ডাকলে মনে হতো বসন্তকাল,, এর কারণ সংক্রান্ত বিষয় তিনি বলেন কালের পরিবর্তনে সবকিছু উপল অঞ্চল থেকে আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে এর জন্য দায়ী আমাদের অপকর্ম তার প্রধান কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন এই জলব বায়ুর পরিবর্তন ফিরিয়ে আনতে হলে সকলকে নিয়োগ তান্ত্রিক মেনে চলতে হবে,। তিনি আরো বলেন জলবায়ু নিয়ম তান্ত্রিক মেনে চললেও আর হবে না কারণ বাংলাদেশে মানুষের এত পরিমাণ ঘনবসতি যার কারণে একের পর এক সবকিছু হারিয়ে যাচ্ছে,
এ বিষয়ে ভোলা সরকারি কলেজের প্রানিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোমেন মিঞা বলেন, আগে বসন্তে অন্যান্য দেশ থেকে দ্বীপ জেলা ভোলায় কোকিল আসত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন আর ভোলায় কোকিল দেখা যায় না।
একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন বলেন, কয়েক বছর আগে ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা, চর কুকরি-মুকরি ও ঢালচরে কোকিলের কুহু কুহু ডাক শুনা যেতো। কিন্তু এখন আর কোকিল তেমন দেখা যায় না। আর সুরেলা ডাকও শুনা যায় না।