দিঘলিয়া প্রতিনিধি : খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের দিঘলিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। পুরা ১তলা ভবনটির ছাদ ভেঙ্গে পড়ছে। ভীমও ফেটে গেছে এবং ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। পরিপূর্ণ ঝুকি ভবনের নিচে বসে চিকিৎসকগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের বিপর্যয় ও দুর্ঘটনা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা ও জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার দিঘলিয়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রটির এ ভবনটি ১৯৮২ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর একতলা এ ভবনটি নির্মাণ করে। যে ভবনে রয়েছে নানা কাজে ব্যবহৃত মোট ৮টি কক্ষ।
দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসার নিকটস্থ ৩৭ শতক জমির ওপর গড়ে ওঠে এ প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে মেডিকেল অফিসার ও এফডব্লিউভি এর থাকার আবাসিক ভবনও রয়েছে। ভবনটি নির্মাণের পর ১০/১২ বছর আগে সরকারিভাবে নীতিমালা অনুযায়ী একবার সংস্কারও করা হয়েছে। ভবনটির বর্তমান অবস্থা এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় এসে পৌঁছেছে যে পরিত্যাক্ত ভবনে রুপান্তরিত হয়েছে।
বর্তমানে এ জরাজীর্ণ ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প কিছু করার নেই। ভবনির এ জরাজীর্ণ অবস্থা খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এ দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা জানা যায় নি। খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের ভবনটি সরেজমিনে পরিদর্শনের কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দৈনিক জন্মভূমি প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১জন মেডিকেল অফিসার, ১ জন ফার্মাসিস্ট, ১জন অফিস সয়ায়কের পদ দীর্ঘদিন যাবত শূণ্য রয়েছে। যে কারণে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে এখানে প্রতিদিন শতাধিক লোককে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। এখান থেকে প্রয়োজনীয় ঔষুধও আগত রোগীদের দেওয়া হয়। এখানে প্রসূতি মায়েদের ও শিশুদের স্বস্থ্য সেবাও দেওয়া হয়।
দিঘলিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ কুমার বিশ্বাস জানান, ভবনটি এমনই জরাজীর্ণ অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে যে আমাদের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ চরম ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করছেন। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ নাজমুল হালদার বলেন, আমি আমার নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখি। এ প্রতিষ্ঠানটি আমার ওয়ার্ডে অবস্থিত। আমার এলাকার শত শত মা-বোনসহ সাধারণ মানুষ এখান থেকে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছে। আমার এলাকার এ প্রতিষ্ঠানটির ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থা। এ ভবনটি অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমি জোর দাবী জানাচ্ছি।