1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

সাতক্ষীরায় সুন্দরবনের চিত্রা হরিণের খামার

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ‘যে কেউ হরিণের খামার গড়ে তুলতে পারবেন। তবে অবশ্যই তাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নীতিমালা অনুসরণ করেই অনুমোদন নিতে হবে।’

সুন্দরবন উপকূলীয় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নন্দকাটি গ্রামের গলঘশিয়া নদীর তীরে ব্যক্তি উদ্যোগে চিত্রা হরিণের খামার গড়ে রেখে গেছেন ‍ প্রয়াত ‌ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার মোড়ল। খামারটিতে এখন হরিণের সংখ্যা ৩৫।
শখের বসেই খামারটি গড়েছেন এলাকার পরিচিত এই ব্যবসায়ী। প্রতিদিন এই খামার দেখতে ভিড় করেন বিভিন্ন এলাকার শত শত দর্শনার্থী।
হরিণের খামার অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন খামারের মালিক মোড়ল আব্দুস সাত্তার।
সরেজমিনে দেখা যায়, খামারটিতে বড় হরিণের রয়েছে ২৯টি। শাবক রয়েছে ৬টি।
প্রয়াত ‌মোড়ল আব্দুস সাত্তার বলেছিলেন’২০০৪ সালে খুলনার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচটি হরিণ নিয়ে লালনপালন শুরু করে ‍শখের বসেই শুরু করেছিলেন ‌এখন সেটি খামারে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ খামারটি দেখতে আসেন। খুলনা বিভাগের মধ্যে কোথাও এমন হরিণের খামার নেই।’
‘হরিণের খামার লাভজনক ব্যবসা। শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকরির পেছনে না ছুটে হরিণের খামার গড়ে তুলে তবে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। প্রয়াত আব্দুস সাত্তার মোড়ল বলে গেছেন একজন মন্ত্রী আমার কাছ থেকে ৬টি হরিণ নিয়ে লালনপালন করেন। এখন তার হরিণ হয়েছে ১১টি।’
তবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আব্দুস সাত্তার বলেছিলেন’২০১৭ সাল পর্যন্ত আমার হরিণের খামারটির অনুমোদন ছিল। এরপর থেকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় খামারটির সনদপত্র নবায়ন নিয়ে টালবাহানা করছে। মন্ত্রণালয়ের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রত্যায়ন নবায়ন করছে না। তারা বলছে, আমার খামারটি আকাশ পথে সুন্দরবন থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। খামার হতে হবে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে। নদী পথে আমার খামারটি রয়েছে ৬৩ কিলোমিটার দূরে ও সড়ক পথে ৫০ কিলোমিটার দূরে। আকাশ পথে কত কিলোমিটার দূরে রয়েছে, আমার জানা নেই। আকাশ পথে ১১ কিলোমিটার দূরত্ব কম দেখিয়ে সনদ নবায়ন বন্ধ রেখেছে ওই অধিদপ্তর।’
আইনি জটিলতায় আটকা পড়েছে হরিণের খামার করতে আগ্রহী আশাশুনি উপজেলার হাড়িভাঙা গ্রামের বাসিন্দা সোলাইমান হুসাইনের এক উদ্যোগ। তিনি বলেন, ‘সাত্তার সাহেবের খামারটি দেখে উদ্যোগী হয়েছি। তবে খামার গড়ে তোলার আগেই আইনি জটিলতায় পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারছি না।’
‘অল্প বিনিয়োগে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে হরিণ পালনে। এটির বাণিজ্যিক চাহিদাও অনেক,’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘হরিণের খামার দ্রুত বর্ধনশীল। প্রতি তিন বছরে একটি মায়া হরিণ দুটি বাচ্চা দেয়। ছাগলের খামারের মতোই একই খাবার দিতে হয়। তাছাড়া এ প্রাণীর রোগবালাইও নেই।’
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এই প্রতিবেদককে ‌বলেন, ‘আইনি জটিলতা না থাকলে খামার গড়ে তোলার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এতে আগ্রহীরা উপকৃত হবেন।’
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হরিণের খামার গড়ে তোলা গেলে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করি। তবে খামারটি শুধু পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হলে প্রভাব খুব বেশি বিস্তার হবে না। যদি খামারে পালনকৃত হরিণের মাংস বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার সুযোগ দেয় সরকার, তবে ব্যাপকভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। অনেকেই আগ্রহী হয়ে হরিণের খামার গড়ে তুলবে।’
খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ( এ জেড এ হাসানুর রহমান।বলেন, প্রয়াত’আব্দুস সাত্তারের খামারটি আকাশ পথে ২০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। যার কারণে খামারটির লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে না। হরিণের খামারের লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই সেটি আকাশ পথে ৩০ কিলোমিটার দূরে হতে হবে। এর বাইরে লাইসেন্স দেওয়ার আইনি সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘যে কেউ হরিণের খামার গড়ে তুলতে পারবেন। তবে অবশ্যই তাকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নীতিমালা অনুসরণ করেই অনুমোদন নিতে হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট