1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

ডুমুরিয়ার মধুগ্রাম বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় ধান চাষ করতে পারেনি চাষীরা

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

ডুমুরিয়া : স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মধুগ্রাম বিলে এবারও চাষীরা বোরো মৌসুমে ধান চাষ করতে পারেনি। অতিবৃষ্টির পানিতে মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় লোকসানের ঘানি টানছেন তারা। ফলে এ অঞ্চলের ১০টি গ্রামে খাদ্যাভাবের আশংকা করছে ভুক্তভোগী জনগণ। জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার মধুগ্রাম, মিকশিমিল, রুদাঘরা, ছয়বাড়িয়া, ধামালিয়া, কোমরাইল, রঘুনাথপুর, দেড়ুলী, আন্দুলিয়া, শাহপুর গ্রামের মানুষ এ বিলের ধান ও মাছের উপর নির্ভরশীল। ২২’শ একরের মধুগ্রাম বিলটি উপজেলার সবচেয়ে নিচু থাকায় প্রায় সারা বছর পানিতে ডুবে থাকে। ছোট বড় মাছের ঘের সম্বলিত বিলটিতে মাছ চাষ করে কিছুটা পুষিয়ে নিলেও এবার বিধিবাম। গত বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে তলিয়ে যায় ঘেরসহ বিলের চারপাশের মানুষের বাড়ি ঘর। ফলে বেরিয়ে যায় ঘেরের সমূদয় মাছ। তলিয়ে যায় ঘেরের পাড়ের সবজি ক্ষেত। এতে চাষীদের সব আশা আকাক্সক্ষার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। ধামালিয়া গ্রামের এরশাদ আলী ও রুদাঘরা গ্রামের মাস্টার সামরুল ইসলাম বলেন, রুদাঘরা গ্রাম ঘেষে উঁচু কিছু জমিতে সেচ পাম্পের মাধ্যমে চাষীরা শতকারা ৬ ভাগ জমিতে ধান রোপন করেছে। কিন্তু নিচু জমিতে কেউ ধান রোপণ করতে পারেনি। আন্দুলিয়া গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী এ এম কামরুজ্জামান ও মনিরুজ্জামান বলেন, ২৫ বিঘা জমিতে ধান ও মাছ চাষ করি কিন্তু কয়েক বছর জলাবদ্ধতার কারণে ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এ বছর অতি বৃষ্টির কারণে মাছ ভেসে যাওয়ায় মূল খরচের অর্ধেকও উঠবেনা। মধুগ্রাম বিলের পানি নিষ্কাসনের পথ হামকুড়া নদী এবং হড়হড়িয়ার খাল। হামকুড়া নদী এখন সম্পূর্ণ বিলীন। হড়হড়িয়া খাল দিয়ে নিদৃষ্ট পরিমাণ পানি নিষ্কাসিত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। হড়হড়িয়া খাল দিয়ে হামকুড়া এবং শৈলমারী স্লুইজ গেইটের মাধ্যমে মধুগ্রাম বিলের পানি কিছুটা নিষ্কাসন হয়। খালটি পুনঃ খনন করা হলে মধুগ্রাম বিলটি চাষীদের মনে আশা জাগতো বলে স্থানীয়রা জানান। উত্তর ডুমুরিয়ার বিল সমন্বয় কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক জি এম আমান উল্লাহ বলেন, মধুগ্রাম বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। হড়হড়্রযিা খালের পাটা ও শেওলা পরিষ্কার করে সাময়িক কিছুটা সুফল পেলেও স্থায়ী কোন সমাধান পাচ্ছিনা। হড়হড়িয়া ও হামকুড়া খালটি পুন: খনন করলে বিল মধুগ্রামের পানি নিষ্কাশন হতো এবং বেঁেচ থাতার মতো অস্থায়ীভাবে কিছুটা সমাধান হবে বলে আশা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট