1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

খালিশপুর থানার সেকেন্ড অফিসার সঞ্জিত ও বয়রা ফাড়ির ইনচার্জ এসআই রিয়াজ এখনো বহাল তবিয়তে

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ২৩২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হকের ক্যাশিয়ার হিসেবে খ্যাত খালিশপুর থানার সাবেক ওসি আনোয়ার হোসেন বদলী হলেও তার দুই সহযোগি এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। এ দুইজন হলেন খালিশপুর থানার সেকেন্ড অফিসার সঞ্জিত ও বয়রা ফাড়ির ইনচার্জ এসআই রিয়াজ। এ দুজনের অত্যাচারে বিগত দিনে বিএনপি-জামাত ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা চরম আতংকের মধ্যে দিন যাপন করতো। এসব রাজনৈতিক কর্মীদের সাথে তারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীর মত আচরণ করতেন। তারা এই ফাঁড়িতে আওয়ামী বিরোধী লোকদের ধরে এনে দিনের পর দিন আটকে রেখে নির্যাতন করতেন। ফাড়িটি আ’লীগ নেতাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিণত হয়। তারা নিরিহ মানুষকে মাদক, চুরি, গায়েবি মামলায় ফাঁসাতে ছিলেন ওস্তাদ। এদের দুইজনের সাথে এলাকার মাদক কারবারী, চিহ্নিত চোর ও ছিনতাইকারী, অপরাধীদের সাথে রয়েছে সখ্যতা। নিরিহ মানুষকে ধরে এনে বিনা অপরাধে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বাস্তহারা এলাকায় সোহেল নামের এক ব্যক্তি তার মাকে নির্যাতন করে। বিষয়টি জানার পর মানিক তার খালাতো ভাই সোহেলকে মারধর করে। এ ঘটনায় সোহেল খালিশপুর থানায় মামলা করে। যার নং-২৮, তাং-২২,০৫,২৪ইং। ওই মামলায় মুল আক্রমণকারী মানিককে ৮নং আসামী করা হয়। বাদীর মা-খালা বলেছেন, মামলা দিতে চাইনি। তবে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা মামলা দিতে বাধ্য করেন। এমন কি তারা মামলা টাইপ করে দেন। শুধু সোহেল স্বাক্ষর করেন। এর বেশী কোন মতামত তার কাছ থেকে নেয়া হয়নি। যারা ঘটনার সময় এলাকায় ছিলেন না, ঘটনার সাথে জড়িত নন, তাদেরও আসামী করে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আসামীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তহারা এলাকায় চম্পা বাদী হয়ে মামলা দেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রিয়াজ। ওই মামলার আসামী ধরতে খালিশপুর থানার প্রায় সকল পুলিশ ওসিসহ বাস্তহারায় আসেন। পুলিশের বিশাল বহর দেখে এলাকার সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রাস্ত হয়ে পড়ে। ওই মামলা আসামীকে ধরতে পুলিশের এতবড় বহর আসে। তারা আসার পর হালিমা রহমান নামের এক নারী নেত্রীর বাসার ভিতরে আসামী প্রবেশ করেছে এমন অজুহাতে পুলিশ বাসার ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় হালিমা রহমান বাগেরহাট এলজিইডি অফিসে ছিলেন। তিনি বাসায় না থাকায় নিরাপত্তা প্রহরীরা গেট আটকে দেয়। কিন্তু অতি উৎসাহি পুলিশ ওয়ালের উপরে উঠে বেলকুনি দিয়ে ভাড়াটিয়া ঘরের ভিতর দিয়ে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে গেট খুলে নেয় তারা। এ সময় পুলিশ ওই নিরাপত্তা প্রহরীকে বেধড়ক মারপিট করে। বাড়ির সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। বাসার ভিতরে ঢুকে তল্লাশির নামে ভাংচুর করে। বাড়ির লোকদের মারপিট করে। তারা লিফট ভাঙ্গে। বিষয়টি হালিমা সাবেক পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হককে মোবাইলে অবগত করেন। তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে আশ্বাস্ত করেন। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। পুলিশ বেপরোয়া আচরণ করতে থাকে।ওসি আনোয়ার সাংবাদিকদের কাছে বলেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে এই অভিযান চালানো হয়।পুলিশ হালিমার দুলা ভাইকে পিটিয়ে ড্রেনে ফেলে। তার বোনের ছেলে ও নিজের বড় ছেলেকে মারপিট করে। তিনি রাত ১০.২৬ মিনিটে বাগেরহাট থেকে রওনা হন। তার আগেই পুলিশ পুরো বাসা ভাংচুর, বাড়ির লোকদের মারপিট করে ভিবিষিকাময় পরিবেশ সৃষ্টি করে। বড় ছেলে এ তান্ডব আর নির্যাতনের ভিডিও করলে তার মোবাইল কেড়ে নেয় পুলিশ। হালিমা রহমান বাসায় এসে এ তান্ডবলীলা দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। কথার ফাঁকে তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে খুমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। পুলিশ তাকে প্রিজন সেলে ভর্তি করে। হাসপাতালে নেয়ার সময় বোনের ছেলে নাহিদ ও এলাকার ছেলে জাহিদুল তার সাথে গাড়িতে যায়। হালিমা রহমান কে হাসপাতালে রেখে নাহিদ ও জাহিদুল কে বয়রা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় ওই তিন জন পুলিশ এস আই রিয়াজ, এস আই মাসুদ রানা,ও সেকেন্ড অফিসার সঞ্জিত তাদের দু’জনকে হাত পা ও চোখ বেধে নির্মম নির্যাতন করে। ওই দিন রাত তিনটার দিকে তাদের দু’জনকে খালিশপুর থানায় হস্তান্তর করে। প্রিজন সেলে থাকাবস্থায় খাবার পানি চাইলে দেয়া হয়নি হালিমাকে। ওই প্রিজন সেলে অক্সিজেন ছাড়া আর কোন চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়নি। এমন কি হালিমার সাথে পরিবারের কোন সদস্যকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। হালিমাকে হাসপাতালে নেয়ার পর পুলিশ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭ জন মহিলাসহ ১৪ জনকে আটকে করে। এ সময় পরিবারের মহিলা সদস্যকে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা টেনে হিচড়ে পুলিশের গাড়িতে উঠাতে দেখা যায়। গ্রেফতারের সময় প্রত্যেককে নির্মম নির্যাতন করে। ১১ জুলাই সারা রাত খালিশপুর থানায় রাখা হয়। পরের দিন অর্থাৎ ১২ জুলাই সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করা হয়। ১২ জুলাই সন্ধ্যায় হালিমাকে প্রিজন সেল থেকে খালিশপুর থানায় আনা হয়। তখন তিনি বুঝতে পারে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ওই মামলার বাদী হন নির্যাতনকারী এসআই রিয়াজ। ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে একজন প্রভাবশালী আ’লীগ নেতার ষড়যন্ত্রে বিনা দোষে হালিমা রহমান কে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দেয়া হয় মামলা নং ২০পুলিশ দিয়ে আটক করা হয়। রবিবার এই মামলায় জামিন হলেও নতুন করে সেই চম্পার ১৬ নং মামলায় শ্যোন এরেষ্ট দেখানো হয় হালিমাকে। হালিমার বাড়িতে পুলিশ আসামী ধরতে অভিযান চালায় অথচ সেই মামলায় হালিমাকে শ্যোন এরেষ্ট দেখায়। যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত। এই মামলার ঘটনা ঘটে রাত ৯ টা অথচ সেই সময় হালিমা রহমান বাগেরহাট এলজিইডি ভবনে ছিলেন। সিসি ফুটেজ আছে অথচ এই চম্পার মামলায় যদি আসামি হতো তাহলো তাকে এজাহারভুক্ত আসামি হবার কথা। হালিমা রহমান তো অপরিচিত নয় বাদি চম্পার কাছে, একই এলাকায় বসবাস তাহলে অজ্ঞাত  দেওয়ার উদ্দেশ্যটা কি এটা আর বুঝতে বাকি থাকে না। আর চম্পার ২৮ নম্বর মামলা সম্পুর্ন টাকা খেয়ে এসআই রিয়াজ নিরিহ লোকদের ফাসিয়েছে তার প্রমানও রয়েছে রিয়াজের নিজের মুখের স্বীকারোক্তিতে। বিনা দোষে প্রভাবশালী আ’লীগ নেতা ও পুলিশের কারসাজিতে ১৩ দিন কারাভোগের পর গত ২৪ জুলাই তিনি জামিন পান। মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে লিয়াজো করে হালিমার বিরুদ্ধে এ মামলা দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা বাস্তহারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ওমর, হিরন কামাল,সবুজদের আশ্রয় দাতা। তারা এসব মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতো। এদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক নগদ টাকা নিতো, এদের মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতে দেওয়ার জন্য। আবার মিথ্যা হয়রানিক মূলক সাধারণ মানুষকে মাদক দিয়ে থানায় ধরে নিয়ে যেত। এস আই রিয়াজ বয়রা ফাড়ির দায়িত্ব নেওয়ার পর বাস্তহারা এলাকায় বিভিন্ন ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া শুরু হয়, বেকারি মালিকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ছিল অপেন সিক্রেট। কোন ঘটনা ঘটলে তদন্ত ছাড়া টাকা খেয়ে মানুষকে হয়রানিক মূলক মামলা দেওয়া ছিল তার নিত্য দিনের কাজ নবাগত পুলিশ কমিশনারের সাথে সাংবাদিকবৃন্দএই বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন পত্রিকায় দিয়ে তার সাথে দেখা করতে তিনি এই বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিবেন।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট